যশোর অফিস : যশোরে আলাউদ্দিন হত্যাকান্ডে আটক সাইদুল ইসলাম শুভ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সে শহরতলির ঝুমঝুমপুর কুমারপাড়ার রবিউল ইসলামের ছেলে। জবানবন্দিতে বারান্দীপাড়ার ডিম রিপনসহ কয়েকজনের নাম তিনি উল্লেখ করেছেন বলে আদালত সূত্র জানিয়েছেন।
রোববার (২৯ নভেম্বর) জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুদ্দীন হোসাইন আটক সাইদুল ইসলাম শুভর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বিষয়টি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আরও জানান, সাইদুল ইসলাম শুভকে রিমান্ডে নেয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই আলাউদ্দিন হত্যা বিষয়ে মুখ তিনি খোলেন। আলাউদ্দিনকে কারা কেন কিভাবে হত্যা করেছে সেই বিষয়ে তিনি আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। তবে ওই জবানবন্দিতে এজাহারভুক্ত সকলেসহ আরো কয়েকজনের নাম বলেছে বলে জানিয়েছে তদন্ত কর্মকর্তা। গত ১৭ জুলাই খুন হয় আলাউদ্দিন। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে মামলা করেন।
মামলারর আসামিরা হলেন, যশোর শহরতলির ঝুমঝুমপুর কুমারপাড়ার রবিউল ইসলামের ছেলে শুভ, বারান্দীপাড়া টাউয়ার মোড়ের রাজ্জাকের ছেলে শাহারাজ, বারান্দীপাড়া মোল্লাপাড়ার শামীমের ছেলে শরীফ, বদরুদ্দীনের ছেলে ডিম রিপন, শরিফের ছেলে রাজ বাবু, একই এলাকার বাপ্পী এবং হেদায়েত।
এজাহারে বাদী উল্লেখ করা হয়েছে, বাদী আরবপুর কলুপাড়ার শুকুর আলী জানান তার আরবপুর মোড়ে একটি খাবার হোটেল আছে।তার ছেলে নিহত আলাউদ্দিন (২০) ইজিবাইক চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতো। ওইদিন সকাল ৭টার দিকে একটি মোবাইল ফোন পেয়ে আলাউদ্দিন বাড়ি থেকে বারান্দীপাড়ার দিকে চলে যায়। সকাল ১০টার দিকে ওই এলাকার এ ওয়ান স্কুলের দক্ষিণ পাশে মদন কুমারের বাড়ির সামনে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। পরে তারা পালিয়ে যায়। ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য হত্যাকারীদের মধ্যে কয়েকজন একটি ইজিবাইকে করে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আলাউদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করেন।
সংবাদ পেয়ে তিনি হাসপাতালে গিয়ে ছেলের লাশ দেখতে পান।