নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ, ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ট লক্ষ্য অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে নতুন স্কিম গঠন করা হয়েছে। যার নাম দেয়া হয়েছে ‘রফতানিমুখী শিল্প খাতের প্রযুক্তিগত উন্নয়নের জন্য পুনঃঅর্থানয়ন তহবিল’। এক হাজার কোটি টাকার এই পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের উৎস হবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
রোববার (১৭ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্ট থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
বাংলাদেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো প্রজ্ঞাপনটিতে বলা হয়, আবর্তনশীল এই তহবিলের আকার হবে মোট এক হাজার কোটি টাকা। এর সুবিধাভোগী হবে রফতানি নীতি ২০১৮-২১ এর আওতাধীন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত ও বিশেষ উন্নয়নমূলক খাত। তহবিলের সার্বিক উদ্দেশ্য হবে রফতানিমুখী শিল্পখাতের আধুনিকায়ন ও প্রযুক্তিগত উন্নয়ন সাধন।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, এই তহবিলের সুবিধা নেয়ার জন্য প্রতিটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে অংশগ্রহণমূলক একাটি চুক্তি করতে হবে। চুক্তি অনুযায়ী প্রতিটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে পার্টিসিপেটিং ফাইন্যান্সিয়াল ইন্সটিটিউশন (পিএফআই) হিসেবে গণ্য করা হবে।
গ্রাহক পর্যায়ে এই তহবিলের ঋণে সুদহার হবে সর্বোচ্চ ৪ শতাংশ। তবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ১ শতাংশ সুদ আদায় করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। ঋণের মেয়াদ পাঁচ বছরের কম হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুনাফার সঙ্গে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ মার্জিন সুদ আদায় করতে পারবে ব্যাংক। পাঁচ বছরের বেশি কিন্তু আট বছরের কম মেয়াদী ঋণের সুদ হার হবে সর্বোচ্চ সাড়ে ৩ শতাংশ এবং আট বছরের বেশি কিন্তু দশ বছরের কম হলে সেই ঋণের সুদ হবে সবমিলিয়ে ৪ শতাংশ।
এই তহবিল থেকে ঋণ নিতে হলে ঋণ-মূলধনের অনুপাত হতে হবে ৭০:৩০ শতাংশ। অর্থাৎ, ৩০ শতাংশ মূলধনের বিপরীতে ৭০ শতাংশ ঋণ নিতে পারবে গ্রাহক।